বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটদলের খেলোয়াড় এনামুল হক জুনিয়র, যিনি বাংলাদেশে জাতীয়দলের হয়ে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ী দলের নায়ক ও সবচেয়ে কম বয়সে ১ ম্যাচে ১০ উইকেট এর বিশ্বরেকর্ডধারী গত ৯ ই সেপ্টেম্বর মাউন্ট এডোরা হসপিটাল আখালিয়াস্থ মাউন্ট এডোরা ফিজিওথেরাপী ও নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার – এ আসেন থেরাপী গ্রহন করতে।
এখানে , বিশেষতঃ স্পোর্টস ইনজুরি রিহ্যাবিলিটেশন এর জন্য রয়েছেন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট, মোঃ সোহেল আহমেদ। তিনি স্পোর্টস ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট এর উপর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং উচ্চতর ডিগ্রীধারী।
এসময় ফিজিওথেরাপিস্ট সোহেল আহমেদ এর সাথে উপস্থিত ছিলেন মাউন্ট এডোরা হসপিটাল, সিলেট এর চিফ একাউন্টস অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) এবিএম জর্জেসুর রহমান, মার্কেটিং অফিসার মহসিন আহমেদ। এনামুল হক জুনিয়র এর উপস্থিতিকে মাউন্ট এডোরা হসপিটাল সিলেট এর একটি মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করে মাউন্ট এডোরা হসপিটাল এর কর্তৃপক্ষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন সিলেটে এরকম সেবা উনি অনেকদিন যাবতই খুঁজছিলেন । বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) এর ফিজিও জয় বিশ্বাস এর মাধ্যমে মাউন্ট এডোরা ফিজিওথেরাপী ও নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার – এর সম্পর্কে অবগত হন।
এনামুল হক (জন্ম: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) সিলেটে। তিনি এনামুল হক জুনিয়র নামেও পরিচিত। যা তাকে অন্য এনামুল হক থেকে আলাদা করে যিনিও বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন পূর্বেই, কিন্তু তিনি এনামুল হক জুনিয়রের সাথে কোন দিক থেকেই সম্পর্কিত নন। এনামুল হক জুনিয়র বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছেন।
তিনি একজন ডান হাতি ব্যাটসম্যান এবং একজন স্লো লেফট আর্ম ডেলিভারির বোলার। তিনি ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায় টেস্টে অভিষেক করেন। ২০০৪ এর এপ্রিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এনামুলের সাথে ছয় মাসের রুকি চুক্তি সই করে। [১]
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ২০০৫-এর জানুয়ারিতে ২-টি টেস্ট এবং ৫-টি ওডিআই খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। ২০০৪-এ জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দেরকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সাময়িক বরখাস্ত করায়, তাদের বাংলাদেশ সফর তাদেরকে অনেক ভোগান্তিতে ফেলে। কারণ তাদের ১৬ সদস্যের দলের মধ্যে শুধু তাদের অধিনায়ক-ই এমন একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি ৯-টির বেশি টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ছিল তাদের ক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞ দল। এবং বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়লাভ করে।[২] প্রথম ইনিংসে কোন উইকেট না নিলেও এনামুল হক জুনিয়র দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে দলকে বিজয় আনিয়ে দেন। ৬/৪৫ এটি ছিল তখন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে করা কোন খেলোয়াড়ের বেস্ট বোলিং ফিগার।[৩] দ্বিতীয় টেস্টটি ড্র করার মাধ্যমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় করে। এক ইনিংসে এনামুল হক জুনিয়র ৭/৯৫ নেন এবং নিজেই নিজের গড়া পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।[২] এবং এক টেস্ট ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি ১২/২০০ দিয়ে তিনি সর্ব যুবা খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড করেন যিনি মাত্র ১৮ বছর ৪০ দিন বয়সে টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছেন। এনামুলের আগে এই রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের। [৪]