সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রেসপিরেটরী মেডিসিন বিভাগ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৮ই মার্চ। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
গত বছর দোসরা জুলাই সর্বোচ্চ ৪০১৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল।
তবে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শনাক্তে উর্দ্ধগতি শুরু হয়। সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে নুতন ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়া। সম্প্রতি যে সংক্রমণ বাড়ছে তার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি। শীতকালে সংক্রমণ তেমন না বাড়ার কারণে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও অংশগ্রহণ, এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে উদাসীনতা ছিল পুরো দেশ জুড়েই। এটাও উর্দ্ধ সংক্রমনের আরেকটি কারন ।
ভ্যাক্সিন প্রথম ডোজ দেওয়ার ১০/১২ দিন পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে শুরু হলেও তা সম্পূর্ন কার্যকরী হতে অন্তত ৫/৬ সপ্তাহ সময় লাগে।
করোনা ভ্যাক্সিন পরেও আমাদের কি কি করা উচিৎ ? —
1. মাস্ক পরিধান করুন
2. নাক, মুখ ও চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন
3. দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখুন
4. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন
5. হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন
6. বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন।
মনে রাখবেন, মাস্ক, দৈহিক দূরত্ব, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন এবং ভ্যাক্সিন সমন্বয়েই আমরা মহামারি দূর করে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে পারি।
অতএব নিজে করোনা ভ্যাক্সিন নিন; সতর্ক থাকুন; অন্যকেও করোনা ভ্যাক্সিন গ্রহনে উৎসাহিত করুন । আমি স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আপনিও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন করুন।
——————————————————
ডাঃ শেখ এ এইচ এম মেসবাহ্উল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
রেসপিরেটরী মেডিসিন বিভাগ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ