এর সংক্রমন চীনের উহান শহর থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ এ শুরু হয়ে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিস্তার লাভ করেছে। মে, ২০২০ এর দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিশ্বে ৪৪ লক্ষের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশেও এই রোগের আশংকাজনক বিস্তার হচ্ছে। আমাদেরকে একটা দীর্ঘ সময় করোনার শংকা নিয়েই চলতে হবে। নভেল করোনার টিকা বা চিকিৎসা না থাকায় একমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সচেতন আচরন এ রোগ থেকে আমাকে, আপনাকে এবং আমাদের সমাজকে নিরাপদ রাখতে পারে। ব্যক্তি পর্যায়ে করনীয় সম্পর্কে আমরা টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট থেকে জানতে পারছি। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আমাদের করনীয় নিয়ে এই নির্দেশিকা।
একটা প্রতিষ্ঠানে যেহেতু অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করেন তাই প্রতিষ্ঠানের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তা প্রতিষ্ঠানের অন্যদের মধ্যে দ্রুত বিস্তার লাভ করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রনে ৩ টা বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে –
ক। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে করোনা বিষয়ক সঠিক তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করা।
খ। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করন এবং ঝুঁকি নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহন।
গ। লক্ষন চিহ্নিত করে আইসোলেশন বা আলাদাকরন।
সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতকরন
১। নভেল করোনা ভাইরাস ঘটিত রোগটি নতুন একটি রোগ । এই ভাইরাস আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করে।
২। শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমন করার কারনে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস বাতাসে ছড়ায় । আক্রান্ত ব্যক্তির হাতে (হাচিকাশির সময় হাত ব্যবহার করলে), ব্যবহৃত রুমাল বা টিস্যুতে এই ভাইরাস থাকতে পারে।
৩। একজন সুস্থ্য ব্যক্তি দুইভাবে আক্রান্ত হতে পারে।
- শ্বাসের মাধ্যমেঃ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে (৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে) আসলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পরা ভাইরাস শ্বাসের সাথে গ্রহনের মাধ্যমে।
- হাতের মাধ্যমেঃ আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে হাত মেলালে বা তার ব্যবহৃত কাপড় বা বস্তু (মোবাইল, দরজার হাতল, থালাবাটি, চামচ) হাত দিয়ে ধরলে এগুলোতে ভাইরাস থাকলে সুস্থ্য ব্যক্তির হাতে ভাইরাস আসতে পারে। ভাইরাস সংক্রমিত হাত থেকে নিজ নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটি শ্বাসতন্ত্র সংক্রমন করতে পারে।
৪। আক্রান্ত না হওয়ার জন্য একজন কি করতে পারে?
- নিজ পরিবার ব্যতীত অন্য যে কোন মানুষ (কর্মকর্তা, কর্মচারী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় বা অন্য যে কোন মানুষ) থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব (৬ ফুট বা ৪ হাত) রক্ষা করে চলা। এজন্য বাইরে চলাচলের সময় ছাতা খোলা অবস্থায় ব্যবহার করা যাতে দুরত্ব বজায় রাখা যায়।
- বাইরে থাকা অবস্থায় এবং কর্মরত অবস্থায় কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করা এবং নিয়মিত ধুয়ে নেয়া।
- হাত ভালভাবে না ধুয়ে নাক, মুখ বা চোখে হাত না দেয়া। বারবার হাত ধোয়া বা হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
- ভীড় বা জনসমাগম (বাজার, হাসপাতাল, গনপরিবহন) যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা। সম্ভব না হলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা।
৫। করোনা রোগ হয়েছে কিনা কি উপসর্গ দেখে ধারনা করব ?
- সাধারন উপসর্গঃ জ্বর, সর্দি কাশি, গলাব্যথা, শুকনা কাশি, মাথা ব্যথা, সারা শরীর ব্যথা
- মারাত্মক উপসর্গঃ শ্বাসকষ্ট
- সাধারন উপসর্গ অন্য ভাইরাস (ডেঙ্গু, ফ্লু) সংক্রমনের কারনেও হতে পারে।
৬। করোনা সংক্রমন কিনা কিভাবে নিশ্চিত হব ?
- একমাত্র করোনা পরীক্ষা (পিসিআর) করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
৭। জ্বর, কাশি হলেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে কিনা?
- জ্বর, কাশি হলেই করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নাই।
- করোনা আক্রান্ত হওয়া মানে মৃত্যু নয়। করোনা আক্রান্ত হলেও বেশির ভাগ আক্রান্ত ব্যক্তিই বিশ্রাম ও ঘরে সাধারন সেবায় ভাল হয়ে যায়।
- উপসর্গ থাকলে ঘরে থেকে মোবাইলের (৩৩৩) মাধ্যমে সেবা নিন ও মেনে চলুন। মোবাইল সেবা থেকে আপনাকে আপনার করণীয় বলে দিবে।
৮। জ্বর, কাশি, সর্দি হলে কি করব?
- নিজের বা পরিবারের কোন সদস্যের জ্বর, সর্দি কাশি, গলাব্যাথা ইত্যাদি হলে তাকে যথাসম্ভব আলাদা ঘরে থাকুন। বিশ্রামে থাকুন। ঘর খোলামেলা রাখুন যাতে আলোবাতাস প্রবেশ করতে পারে। রোগীর সেবাদানকারী শুধু রোগীর কক্ষে আসাযাওয়া করবে, অন্যরা নয়।
- মাস্ক ব্যবহার করুন । মাস্ক ব্যবহার করতে না পারলে হাচি কাশির জন্য রুমাল, গামছা বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। সেবাদানকারী রোগীর সেবাকালীন সময়ে মাস্ক ব্যবহার করবে। সেবা শেষে সেবাদানকারী ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবে।
- বেশি করে পানি, ডাব, ফল ও শরবত (লেবুর শরবত দেয়া যেতে পারে) খাবেন।
- জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল (নাপা, এইস) জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে। গলা ব্যথা থাকলে কুসুম গরম পানি লবন দিয়ে গড়গড়া করা যেতে পারে।
- রোগীর ব্যবহার করা কাপড়, রুমাল প্রতিদিন ভালভাবে আলাদা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- মোবাইলের (৩৩৩) মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ নিন।
- করোনা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরে চিকিৎসা নিলেই ভাল হয়ে যায় । তাই ঘরেই থাকুন। তবে লক্ষন মারাত্মক হলে (শ্বাসকষ্ট হলে) রোগীকে করোনা নির্দিষ্ট (সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন সদর হাসপাতাল) হাসপাতালে নিতে হবে।
৯। কি ধরনের মাস্ক ব্যবহার করব?
- মেডিকেল বা সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই।
- কাপড় বা গেঞ্জি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করলেই হবে। মাস্কের কাপড় টা ২ বা ৩ ভাজ থাকলে ভালো। মাস্ক ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- মাস্ক সঠিক ভাবে ব্যবহার গুরুত্বপূর্ন। নাক মুখ পুরোপুরি ঢাকা থাকতে হবে এবং মুখের সাথে আটোসাটো ভাবে লাগানো থাকতে হবে।
১০। হাত ধোয়ার জন্য কি ব্যবহার করব?
- বাসায় ব্যবহারের জন্য সাবান বা তরল সাবান ব্যবহার করাই যথেষ্ট। জরুরী হল সময় (আধা মিনিট) নিয়ে হাতের কবজি পর্যন্ত ভালভাবে ধোয়া।
- কর্মক্ষেত্রে যেখানে বারবার হাত পরিষ্কারের প্রয়োজন সেখানে এলকোহল স্যানিটাইজার (স্পিরিট) ব্যবহার করা সুবিধাজনক।
উপরোক্ত তথ্যগূলো প্রতিষ্ঠানের সবার নিকট পৌছাতে হবে (লিফলেট বা ট্রেইনিং এর মাধ্যমে)। কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ভুল ধারনা থাকলে তা নিরসন করতে হবে।
খ। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করন এবং ঝুঁকি নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহন।
জনসমাগম বা ভিড় হয় যেখানে ৬ ফুট দুরত্ব মেনে কাজ করা কঠিন এমন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা –
- প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীন – সকালের উপস্থিতি বা প্যারেডের সময়, অফিসের বিভিন্ন শাখা যেখানে পাশাপাশি বসে কাজ করতে হয়, মসজিদ, ক্যান্টিন, ডাইনিং, টয়লেট।
- প্রতিষ্ঠানের বাহিরের – প্রতিষ্ঠানের বাহিরের মানুষদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রসমুহ – প্রতিষ্ঠানের যে জায়গাগুলোতে বাহিরের লোকজন সেবা নেয়ার জন্য আসবে তা চিহ্নিত করন।
ঝুঁকি নিরসনে পদক্ষেপ
১। ভিড় বা জনসমাগম কমানো
- ভিড় কমানোর জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাজ ও সেবা চালু রেখে কম গুরুত্বের কাজ ও সেবা স্থগিত রাখা।
- কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ চালু রাখা। প্রয়োজনে ডিউটি শিফট চালু করা যেতে পারে।
- ঝুঁকিপূর্ন কাজের জন্য আলাদা একাধিক টিম গঠন করে একেক টিমকে ২ সপ্তাহ একটানা ডিউটিতে রাখা, পরবর্তী ১ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবে।
- অফিসে ৬ ফুট দুরত্ব বজায় রেখে কাজের ডেস্ক নির্ধারন।
- প্রতিষ্ঠানের অন্যত্র যেখানে একাধিক ব্যক্তি কাজে নিয়োজিত সেস্থানেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
- নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার গুরুত্ব প্রচার (যে স্থানে ভিড় হয় সেখানে পোষ্টার বা লিফলেট দেয়া যেতে পারে)
২। নিরাপদ আচরন নিশ্চিতকরণ
- প্রতিষ্ঠানের সবাইকে কর্মকালীন সময়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে।
- হাত পরিষ্কারের জন্য স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাতধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- ডাইনিং বা ক্যান্টিনে একসাথে বসে খাবার খাওয়া যাবে না। রুম ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হবে।
- লিফটে উঠানামার সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৩। সেবাপ্রার্থী বা সাক্ষাতপ্রার্থীদের জন্য করনীয়
- বাহির থেকে যারা আসবে তাদেরকে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ও লক্ষন আছে কিনা জিজ্ঞাসা করতে হবে। জ্বর, হাঁচি কাশি থাকলে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না।
- সাক্ষাতপ্রার্থীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রবেশস্থলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা বা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- সাক্ষাতপ্রার্থীদের বা যারা সেবা নেয়ার জন্য আসবেন তাদের বসার জন্য নিরাপদ দুরত্ব মেনে বসার ব্যবস্থা করলে ভাল।
- প্রবেশের সময় একজন একজন করে (একজনের কাজ শেষ হলে আরেকজন) প্রবেশ করাতে হবে।
৪। প্রতিষ্ঠানের বাহিরে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে
- বাহিরে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে গাড়ীতে নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলাচল করতে হবে।
- সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে অন্য মানুষ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। ছাতা খোলা অবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
গ। লক্ষন চিহ্নিত করে আইসোলেশন বা আলাদাকরন।
বর্তমান প্রেক্ষিতে করোনাতে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে তাই ধরে নিতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবাই এর ঝুকিতে আছেন এবং কেউ এই ঝুকির বাইরে নেই। যেহেতু একজন আক্রান্ত থেকে খুব দ্রুত করোনা ছড়ায় তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদাকরন খুব গুরুত্বপূর্ন।
১। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এটা নিশ্চিত করতে হবে জ্বর, কাশি, সর্দি হলে সে যেন কাজে না আসে এবং প্রতিষ্ঠানকে ফোন করে অবহিত করে।
২। প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতির সময়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখা (ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে), তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে।
- উপসর্গ আছে এমন কর্মকর্তা কর্মচারীদের আইসোলেশনে থাকতে হবে (নিজ বাসায় আলাদা কক্ষে)। ছাত্রাবাস বা ব্যারাকের ক্ষেত্রে একই সারিতে আলাদা কতগুলো কক্ষ নির্বাচিত করা যেতে পারে আইসোলেশনের জন্য।
- বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ ভাল হয়ে যায়। উপসর্গ ভাল হয়ে যাওয়ার ন্যুনতম ৭ দিন পর কাজে যোগ দেয়া যাবে।
- আইসোলেশন নির্ধারিত জায়গায় যারা চিকিতসা, খাবার সরবরাহ বা পরিচ্ছন্নতার সেবা দিবেন তাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট পিপিই পরিধান করে সেবা দিতে হবে।
- আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্মচারীর মাধ্যমে (বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্মচারী আছে) অথবা মোবাইল (৩৩৩) স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
- যাদের শ্বাসকষ্ট বা বেশী শারীরিক অসুবিধা দেখা দিবে তাদের করোনা নির্দিষ্ট হাসপাতালে নিতে হবে।
এই দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানের সবার অংশগ্রহন জরুরী। সবাই মিলে চেষ্টা করলে করোনার প্রতিরোধ অসম্ভব নয়, সম্ভব।
সংকলনেঃ ডাঃ মোঃ হাফিজ এহসানুল হক এবং ডাঃ মনোজিত মজুমদার, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ; ডাঃ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান খান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।
[আরোও জানুন: করোনা স্বাস্থ্যবার্তা ]